আপনার প্রিয় YouTube Channel এবং Facebook Account সুরক্ষিত রাখার মজার টিপ্স।

 আপনার প্রিয় YouTube Channel এবং Facebook Account সুরক্ষিত রাখার মজার টিপ্স।


প্রিয় বন্ধুরা,
এস এম সুদীপ বিডি এর পক্ষ থেকে আপনাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
আশা করি আপনি ভালো আছেন। আর আমিও অনেক ভালো আছি।  আজকে আবারও দু কলম লিখতে বসে গেলাম। আজ আমি আপনাদের সাথে কোন বিষয়ে কথা বলব , সেটা হয়ত আপনারা টিউনের টাইটেল দেখেই বুঝে গেছেন। 

হ্যা, আজ আমি আপনাদের সাথে আপনার প্রিয় YouTube Channel এবং Facebook Account সুরক্ষিত রাখার মজার টিপ্স গুলো নিয়ে আলোচনা করব।

আজকে আমি এ বিষয়ে লিখতে বসতাম না , তার একটি বিশেষ কারন রয়েছে। আপনারা হয়ত দেখে থাকবেন ইদানিং ফেসবুক এবং ইউটিউব একাউন্ট হ্যাক হয়ে যাচ্ছে।


Hacked

Hacked

কী ভাবে সুরক্ষিত রাখবেন আপনার প্রিয় ফেসবুক এবং ইউটিউব একাউন্ট কে। বড় বড় ইউটিউব চ্যানেল গুলো আজ হ্যাকের শিকার হচ্ছে। তাই ভাবলাম আপনাদের সতর্ক থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দারিয়েছে।


# Hacking কি ? Hacking বলতে কি বুঝায় ?

হ্যাকিং বলতে সাধারণত অবৈধ পদ্মতি অনুসরণ করে অনুমতি ছাড়াই কম্পিউটার বা মোবাইল সিস্টেম কে নিজের কন্ট্রোলে নেয় , তাদের কে হ্যাকার বলে।
আর যে পদ্মতি অনুসরণ করে কম্পিউটার বা মোবাইল সিস্টেম কে কন্ট্রোলে নেওয়া হয় , তাকে হ্যাকিং বলে। হ্যাকার তিন প্রকারের হয়ে থাকে। যথাঃ -

  1. White Hat Hacker
  2. Grey Hat Hacker
  3. Black Hat Hacker

আপনি হয়ত ভাবছেন , হ্যাকিং খুব খারাপ জিনিস। সত্যি কি তাই। মোটেও নয় , হ্যাকিং একটি সিস্টেমের ত্রুটি গুলোকে ধরিয়ে দেয়।
কিন্তু অনেকে এই ত্রুটি কে কাজে লাগিয়ে নিজের স্বার্থ সিদ্ধি করে। আর এ জন্যই হ্যাকার কে তার কাজের উপর নির্ভর করে একাধিক ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। একটা কথা মনে রাখবেন , হ্যাকিং মোটেই খারাপ কাজ নয় , তবে হ্যাকিং কে ভালো কাজে ব্যবহার করতে হবে। এই টিউনে আমরা হাকিং সম্পর্কে বেশি আলোচনা করব না। কারন আজকের টিউনে আমরা হ্যাকিং থেকে বাচার উপায় গুলো নিয়ে কথা বলব।


# YouTube Channel কি ভাবে হ্যাক হতে পারে , এবং হ্যাক হলে করনীয় কি ?

বলে রাখি আময়ারা প্রত্যেকেরই প্রায় ইউটিউব চ্যানেল আছে। আপনার একটি ভূলের কারনে আপনি আপনার চ্যানেল টি হারাতে পারেন।
ইউতিউবে অনেকেই নিজের ক্যারিয়ার গঠনের স্বপ্ন দেখে। কিন্তু আপনার পজিশন যদি ইউতিউবে দারিয়ে যায়। আর তার পর আপনার চ্যানেল টি চলে যায় হ্যাকারের কাছে। কি করবেন আপনি। আর এ জন্যই আগে থেকেই যদি আপনি সাবধানতা অবলম্বন করেন , আপনি কখনই হ্যাকের স্বীকার হবেন না। আমি কিছু কারন সনাক্ত করেছি , কারন গুলো আপনাদের মাঝে তুলে ধরতেছি। যথাঃ-

  1. ইমেইলের দুর্বল পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা , যেমন ১২৩৪৫৬ অথবা abcdef।
  2. নিজের নামে পাসওয়ার্ড দিয়ে রাখা।
  3. নিজের মোবাইল নাম্বার পাসওয়ার্ড হিসেবে দেওয়া।
  4. কে কোন ওয়েব সাইটে নিজের ইমেইলের পাসওয়ার্ড দিয়েই একাউন্ট তৈরি করা।
  5. ফিসিং সাইট বুঝতে না পারা।
  6. আন নন সফটওয়্যার বা এপ্লিকেশন ইন্সটল করা।
  7. কম্পিউটারে এন্টিভাইরাস ব্যবহার না করা এবং
  8. যার তার ফোনে লগিন করলে সেটা লগ আউট না করা ইত্যাদি।


এখন আপনি যদি হ্যাকের স্বীকার হয়েই থাকেন , তবে আপনার প্রিয় ইউটিউব চ্যানেল টি ফিরে পেতে অনেক কষ্ট হবে। এমন কি আপনি আর সেই চ্যানেল টি ফীরে নাও পেতে পারেন।
কিন্তু আপনার চ্যানেল টি ফীরে পেতে হলে আপনাকে YouTube এর যে Official Twitter Page আছে , সেখানে আপনার চ্যানেলের বিস্তারিত বর্ণনা করে বলতে হবে আপনার ইউটিউব চ্যানেল টি হ্যাক হয়েছে। সেটি যেন তারা Recover করে দেয়।

আর এই পোস্টে আপনার Subscriber দের রিয়াক্ট করতে হবে। যদি আপনার Subscriber এর পর্যাপ্ত রিয়াক্ত আসে , তবে ইউটিউব আপনার চ্যানেল টি Recover করতে সাহায্য করবে।



# Facebook Account কি ভাবে হ্যাক হতে পারে , এবং হ্যাক হলে করনীয় কি ?

বর্তমানে ফেসবুক একটি অধিক জনপ্রিয় মাধ্যম , একে আপরের সাথে ভাব বিনিময় থেকে শুরু করে আরও অনেক কিছু।
কিন্তু কখনও কি ভেবে দেখেছেন , আপনার এই প্রিয় ফেসবুক যদি অন্য কেউ এসেস করে বা হ্যাক করে নেয়। কি হবে আপনার ?
অনেক কিছুই হতে পারে। আপনার ফ্রেন্ড লিস্টের সকলের সাথে খারাপ ব্যবহার করতে পারে। আপনার বন্ধুর কাছে আপনার পরিচয় দিয়ে টাকা হাতিয়ে নিতে পারে। আপনি পদে পদে বিপদের মুখে পড়বেন। তাই আপনাকে কিছু সাবধানতা নিয়ে ফেসবুক ব্যবহার করতে হবে। আপনি যে সকল সাবধানতা অবলম্বন করবেন , সে গুলো আমি নিচে আলোচনা করতেছি। যথাঃ -

  1. ফিসিং সাইটে লগিন করা।
  2. বিভিন্ন Apps এ ফেসবুক দিয়ে একাউন্ট খুলা।
  3. ফেসবুকে পার্সোনাল ইনফরমেশন পাবলিক করে রাখা।
  4. অপরিচিত কে ফ্রেন্ড করে নেওয়া।
  5. ফেসবুক সেকুরিটি চালু করে না রাখা।
  6. ফেসবুক অন্যের দ্বারা খুলে নেওয়া এবং সেটি ব্যবহার করা।
  7. শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার না করা এবং
  8. বন্ধুর ফোনে ফেসবুক লগিন করে লগ আউট না করা এবং পাসওয়ার্ড সেভ করে রাখা ইত্যাদি।

উক্ত কাজ গুলো করলে আপনার প্রিয় ফেসবুক একাউন্ট টি হ্যাক হয়ে যাবে। আর যদি আপনার প্রিয় ফেসবুক একাউন্ট হ্যাক হয়েই যায় , তবে আপনাকে ফেসবুক টিম কে টা অবগত করতে হবে।
ফেসবুক Help Centre এ গিয়ে আপনার হ্যাক হওয়া একাউন্ট টির সঠিক তথ্য দিবেন। আপনি যদি সঠিক তথ্য দিতে পারেন , তবেই আপনি আপনার হ্যাক হওয়া ফেসবক একাউন্ট টি ফীরে পেতে পারেন। ফেসবুক আপনাকে Recover Mail পাঠাবে। এখান থেকে আপনার একাউন্ট এর নিউ পাসওয়ার্ড সেট করে আপনার একাউন্ট আবার কন্টিনিউ করতে পারবেন।


# Fishing Site কি ? এটি কি ভাবে কাজ করে ?

আপনারা হয়ত ভাবছেন যে ফিশিং সাইট আবার কি ? আর এজন্যই ফিশিং সাইট কি সে বিষয়ে আপনাদের মাঝে এর বিস্তারিত ব্যাখ্যা করতেছি।

আপনারা কি জমজ ভাই অথবা বোন দেখেছেন ? এদের কে হটাৎ দেখলে আপনি বুঝতেই পারবেন না কার নাম কি ? কারন এরা দেখতে একই রকম।
যদিও এদের মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে কিন্তু আপনি টা ধরতেই পারবেন না।

ফিশিং সাইট গুলোও হ্যাকার রা এমন ভাবে তৈরি করে যেটা দেখতে ঠিক ফেসবুক লগিন পেজের মত।
আপনি যদি ফেসবুক ভেবে ভূল করে আপনার ইমেইল বা মোবাইল নাম্বার এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগিন করেন , তবে আপনি হ্যাকের স্বীকার হলেন।

ওই ফেক ফেসবুক লগিন পেজ টি আপনার লগিন করা ইমেইল বা নাম্বার এবং পাসওয়ার্ড হ্যাকারের মেইল বক্সে পাঠিয়ে দিবে।
আর আপনাকে স্ক্রিপ্ট দিয়ে রিয়েল ফেসবুকে নিয়ে যাবে , আপনি বুঝতেই পারবেন না। আপনার সাথে এত ক্ষন কি প্রতারনা করা হল।

আপনি ভাবছেন হয়ত শুধু ফেসবুকের কি ফিশিং সাইট হয়। না , সকল সাইট এর ফিশিং সাইট হতে পারে। সেটা Gmail , Hotmail, OutLook, Facebook, Twitter ইত্যাদি।


# কি ভাবে চিনবেন Fishing Site ? উক্ত সাইট সনাক্ত করার উপায় কি ?

আপনাদের মনে নিশ্চয় এই প্রশ্নের উদয় হয়েছে। চিন্তার কারন নেই। আমি আপনাদের ফিশিং সাইট চেনার উপায় বলে দিচ্ছি।

হ্যাকার সাধারণত আপনাকে যে কোন প্রলোভন দেখিয়ে কোন লিংক আপনার ইনবক্সে পাঠাবে। অথবা কোথাও না কোথাও এমন কিছু কথা দেখে আপনার ইচ্ছা হল উক্ত লিংকে প্রবেশ করতে।
সাবধান , একটু দারান...!

লিংক টি ভালো ভাবে লক্ষ্য করুন এটি Facebook.com কিনা। যদি না হয় উক্ত লিংকে প্রবেশ করার দরকার নেই।

আর যদি প্রবেশ করার পর দেখেন ফেসবুক লগিন পেজ তবে ভূলেও লগিন করবেন না। ওই পেজ থেকে বের হয়ে আসুন।
হ্যাকার রা সাধারণত ফেসবুক ফিশিং পেজের লিংক টি ফেসবুকের মত করেই তৈরি করে , ফলে ইউজার রা একটুও বুঝতেই পারেনা। যেমনঃ - 

  1. 000facebook
  2. faceboook
  3. faceebook
  4. facebooker
আপনি দেখবেন যে সামান্য কিছু Word বা সংখ্যা যুক্ত করে ফিশিং লিংক তৈরি করে , যে কারনে আপনি সহজেই হ্যাকারের ফাঁদে পা দিয়ে দেন।
আশা করি আজকের পর আপনি আর এ ধরনের ভূল করবেন না আর ফাঁদেও পা দিবেন না। নিজের সুরুক্ষার দায়িত্ব আপনাকে নিজেই রাখতে হবে।

তো বন্ধুরা আজকে টিউনের শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি। আজকের টিউন টি আপনাদের কেমন লাগলো কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।


পরিশেষে আপনাদের সু-সাস্থ এবং সুরুক্ষিত থাকেন এই প্রত্যাশায় আজকের টিউন এখানেই শেষ করতেছি। ভালো থাকবেন।
টাটা।


ক্রেডিট বাইঃ- SMsudipBD.Com
পোস্ট রেটিং করুন
ট্যাগঃ
About Author
2 comments
Sort by

  1. Thanks so much sir,
    Please help give tutorial on how to grow intagram followers

    ReplyDelete
    Replies
    1. Yes, I Am Try To This As Soon As Posible.
      Thanks For Your Right Feedback.

      Delete