যে ভূল গুলো ব্লগারে কখনই করবেন না। যে ভূল গুলো ব্লগারে ব্যর্থতার কারন হয়ে উঠেছে।
হেলো বন্ধুরা, আশা করি সকলেই এস এম সুদীপ বিডি এর সাথেই আছেন। আর আগামিতেও আমাদের সাথেই থাকবেন। আপনাদের নিয়েই আমাদের পথ চলা। আজকে আমি আপনাদের সাথে কোন বিষয় টি শেয়ার করতে যাচ্ছি , সেটি আপনারা আজকের টিউনের টাইটেল দেখেই হয়ত বুঝে গেছেন।
আজ আমি আপনাদের মাঝে সেই বিষয় গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করব। যে বিষয় গুলো আপনার প্রায় সকলেই ভূল বশত করেই থাকেন। আপনি কি জানেন , আপনার এই সকল ভূল করার কারনেই আপনি আপনার ব্লগার ওয়েব সাইট থেকে সফলতা অর্জন করতে পারেন না। আপনার ব্লগার ওয়েব সাইট টি সোনার হরিণ হতে পারে। যদি আপনার প্রচেষ্টা সুন্দর ও সাফল্যমণ্ডিত হয়।
আর আজ আমি সেই সকল বিষয় গুলো নিয়েই আজকের এই টিউন টি সাজিয়েছি। আশা করি আজকের পড় আপনারা এই সকল ভূল আর কখনই করবেন না। ব্লগারে যদি আপনি একবার সোনার হরিণ পেয়ে যান , তবে এটাকে হেলায় হারাবেন না।
একে পরিচর্যা করুন। সাফল্য আপনাদের দুয়ারে এসে করা নারতেছে। একটি ব্লগার সাইট থেকে আন লিমিটেড টাকা ইনকাম করা যায়। আর এখানে আমি সোনার হরিণ বলতে ব্লগার ওয়েব সাইট এর Adsense কে বুঝিয়েছি।
আমরা সচরাচর সকলেই এই ভূল গুলো করে থাকি , যে গুলো করা আমাদের কখই উচিৎ নয়। আর এ কারনেই আমাদের Adsense Disable হয়ে যায় বা আমরা কখই Adsense পাই না।
আজ আমি আপনাদের সাথে আমার অবিজ্ঞতার আলোকে এই সকল ভূল নিয়েই কথা বলব। আশা করি কেউ আজকের টিউন টি স্কিপ করবেন না। আর স্কিপ করলে অনেক মিস করে ফেলবেন। আমরা সকলেই যে সকল ভূল করে থাকি টা নিচে দেওয়া হলঃ-
১। অন্যের লেখা কপি করা২। অন্যের ছবি নিজে ব্যবহার করা৩। সর্বনিম্ন ৫০০ ওয়ার্ড এর আর্টিকেল না লেখা৪। Keyword Reacharge না করা৫। SEO (Search Engine Optimization) ঠিক ভাবে না করা৬। তথ্য বহুল আর্টিকেল তৈরি না করা৭। Backlink তৈরি না করা৮। নিয়মিত আর্টিকেল প্রকাশ না করা৯। Simple Blogger Template ব্যবহার না করা এবং১০। Html , Css & Customization সম্পর্কে ধারনা না থাকা।
এত ক্ষন ধরে ব্লগারে ব্যর্থ হওয়ার কারন গুলো জেনে নিলাম। এত ক্ষন বলতে পারেন শিরোনাম আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি। তো চলুন এবার বিস্তারিত ভাবে এ সকল কারন গুলো জেনে নেওয়া যাক। আর সাথে জেনে নিব কি ভাবে এ সকল সমস্যা থেকে ব্লগার সাইট কে রক্ষা করবেন।
# অন্যের লেখা কপি করাঃ-
প্রত্যেক টি ওয়েব সাইট এর সব থেকে বড় সমস্যা টি হচ্ছে , অন্যের সাইট এর টপিক কপি করে টা নিজের বলে চালিয়ে দেওয়া। আরে ভাই দারান গুগল রোবট কি আপনার আমার মত এতই বোকা যে আপনার কপি করা টপিক বুঝতেই পারবে না।
আপনারা অনেকেই করেন কি বিভিন্ন ওয়েব সাইট ঘুরতে গিয়ে কোন একটি টপিক ভালো লাগ্লেই শুরু করে দেন কপি করা। পৃথিবীতে অনুকরন করে কেউ সফলতা অর্জন করতে পারেনা। অনুকরন করে নতুন কিছু আবিষ্কার করতে হয় , তবেই সফলতা ধরা দেয়।
আপনাদের কাছে একান্তই অনুরোধ নিজের সৃজনশীলতা কে প্রাধান্য দিন আর কপি করা সম্পূর্ণ রুপে ত্যাগ করুন। কপি পোস্টে গুগল মামা আপনাকে কখই Adsense Aprouve দিবে না। ফলে আপনার সমস্ত পরিশ্রমই বৃথা হয়ে যাবে।
# অন্যের ছবি নিজে ব্যবহার করাঃ-
এবার আসি , আপনারা অনেকেই আছেন যারা গুগলে সার্চ করে বিভিন্ন ছবি Download করে সেই সকল ছবি তাদের ওয়েব সাইট এ বিভিন্ন পোস্টের থাম্বনাইল হিসেবে ব্যবহার করে। আপনি কি জানেন না ঐ সকল ছবি Copyright যুক্ত। উক্ত ছবি গুলোতে দেখবেন ওয়েব সাইট এর এড্রেস সুন্দর ভাবে লেখা থাকে।
আর যদি দেখেন লেখা নেই তবে হয়ত ওয়েব সাইট এর লগো কোথাও না কোথাও এড করা আছে। আর যদি দেখেন লগো বা ওয়েব সাইট এর এড্রেস কিছুই নেই , ভেবে নিয়েন না সেই ছবি টি Copyright মুক্ত আছে।
যারা ওয়েব সাইট চালায় সকলেই এ সকল বিষয়ে পারদর্শী। তারা করে কি জানেন ? তাদের ওয়েব সাইট এর লগো বা ওয়েব সাইট এর এড্রেস ছবির সাথে যুক্ত করে দেয় ঠিকই কিন্তু উক্ত লগো বা এড্রেস এর ব্রাইটনেস ০ (শূন্য) করে রেখে দিয়েছে বা হাল্কা করে দিয়ে রেখেছে।
এতে করে গুগল রোবট ঠিকই বুঝে যায় ছবি টি আসলেই কার। কেননা রোবট তো মানুষের মত নয় যে চোখে না দেখলে পড়তে পারবে না। যতই লেখার ব্রাইটনেস না থাক ঠিকই গুগল মামার রোবট উক্ত লগো বা ওয়েব সাইট এর এড্রেস পড়ে ফেলে এবং বুঝে যাউ উক্ত ছবি টি কার নামে রয়েছে।
তাই সাবধান কখনই গুগল থেকে Download করে কোন ছবি ব্যবহার করবেন না। তবে হ্যা অনেক ওয়েব সাইট আছে যে গুলো কপিরাইট ফ্রি ইমেজ প্রদান করে থাকে। সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন তথাপি Photoshope দিয়ে নিজের ইচ্ছামত ছবি বানিয়ে নেওয়াই ভালো এতে করে Copyright ঝামেলা থেকে মিক্ত থাকা যায়।
# সর্বনিম্ন ৫০০ ওয়ার্ড এর আর্টিকেল না লেখাঃ-
এবার আসি আপনি যে আর্টিকেল লিখবেন বা লিখেছেন টা যদি অতিরিক্ত ছোট হয় , তবে তো আপনার ঐ আর্টিকেল কে গুগল কখনই প্রাধান্য দেয় না। এখন তবে কি করবেন ?
তাই যথা সম্ভব চেষ্টা করবেন আপনার আর্টিকেল যেন মিনিমাম ৫০০ ওয়ার্ড বা বর্ণের হয়। কিন্তু যদি ৫০০ ওয়ার্ড এর যতই বেশি হোক না কেন কোন রুপ সমস্যা হবে না। কিন্তু কখনই আর্টিকেল ৫০০ ওয়ার্ড এর ছোট করে লিখবেন না।
# Keyword Reacharge না করাঃ-
এখন কথা হচ্ছে সবই তো বুঝলেন Keyword Reacharge কি এটাই তো বুঝলেন না। কি ভাবে Keyword Reacharge করবেন সেটা কি জানেন ? যদি আপনি না জেনে থাকেন তবে আজ জেনে নিন।
আমরা যে সকল আর্টিকেল লেখি সেই সকল আর্টিকেল এর টাইটেল যদি সাধারন ইউজার রা গুগলের কাছে নাই সার্চ করে তবে আমাদের ওয়েব সাইট এ কখনই সে ভিসিট করতে আসবে না। তাই যে সকল ওয়ার্ড বা বাক্য সাধারন ইউজার রা গুগলে সার্চ করে থাকে সেই সকল ওয়ার্ড কে Keyword বলা হয়।
তাই আর্টিকেল লেখার সময় Keyword Reacharge করে তবেই আর্টিকেল লেখা প্রয়োজন। আর্টিকেলের মাঝে মাঝে সেই সকল Keyword লিখে দিতে হয় এতে করে আপনার ওয়েব সাইট তথ্য বহুল হয় এবং সার্চ লিস্টের প্রথমে চলে আসে। তাই আপনার আর্টিকেল লেখার পূর্বে অবশ্যই Keyword Reacharge করে নিতে হবে।
# SEO (Search Engine Optimization) ঠিক ভাবে না করাঃ-
একটি ওয়েব সাইট এর সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ যিনিস টি হল - SEO (Search Engine Optimization) করে নেওয়া। অর্থাৎ আমাদের ওয়েব সাইট এর সকল তথ্য গুগলের কাছে পৌঁছে দেওয়া।
আমরা যদি আমাদের ওয়েব সাইট এর সকল তথ্য গুগলের কাছে জমা দিতে না পারি তবে সাধারন ইউজার গুগলে কোন বিষয় সার্চ করে আমাদের ওয়েব সাইট ভিসিট করতে আসবে না। আর ভিসিটর হল - প্রত্যেক টি ওয়েব সাইট এর প্রান। ভিসিটর না থাকলে সেই ওয়েব সাইট এর কোন মূল্য নেই।
আর এ জন্যই সকল ওয়েব সাইট এর SEO (Search Engine Optimization) এর প্রতি জোরালো ভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়। SEO (Search Engine Optimization) করার জন্য আপনাকে সকল সার্চ ইঞ্জিনের সাথে আপনার ওয়েব সাইট যুক্ত করে দিতে হবে।
যেমন গুগলের Webmaster Tools এর সাহায্যে ওয়েব সিতী Submit করে দেওয়া এবং Verify করে নেওয়া। আর সর্ব শেষে Sitemap যুক্ত করা এবং Robot.txt সঠিক ভাবে Setup করা।
তাই SEO (Search Engine Optimization) সঠিক ভাবে করবেন।
# তথ্য বহুল আর্টিকেল তৈরি না করাঃ-
আময়ারা সকলেই বিভিন্ন আর্টিকেল লিখে থাকি , আসলেই কি সকল আর্টিকেল তথ্য বহুল হয়। হয় না। তাই না। আপনাকে চেষ্টা করতে হবে সবার থেকে আপনার আর্টিকেল টি যেন তথ্য বহুল হয়।
এতে করে কি হবে জানেন , যে ভিসিটর রা আপনার আর্টিকেল পড়ে বুঝতে পারবে সে আবারও আপনার ওয়েব সাইট টি ভিসিট করতে আসবে নতুন কোন তথ্য লাভের আশায়।
তাছারা আর্টিকেল তথ্য বহুল হলে আপনার ঐ পোস্টি গুগলের প্রথম লিস্টে আসার সম্ভাবনা অনেক গুনে বেড়ে যায়। তাই আর্টিকেল অবশ্যই তথ্য বহুল করে তুলবেন।
# Backlink তৈরি না করাঃ-
আমরা অনেকেই আছি Backlink কি সেটাই বুঝি না। আর এ কারনেই কঠোর পরিশ্রম করেও আমাদের লক্ষ্য অর্জন করতে পারি না।
Backlink বলতে আপনার ওয়েব সাইট এর আলাদা আলাদা লিংক তৈরি করা। এই Backlink বিভিন্ন ভাবে করা হয়ে থাকে। এর মধ্যে কিছু বৈধ আর কিছু অবৈধ উপায় রয়েছে।
যেটি বৈধ সেটিই আপনাদের মাঝে তুলে ধরতেছি। আপনাকে একটু কষ্ট করে হলেও পপুলার কিছু ওয়েব সাইট খুজে বের করতে হবে। যে সকল ওয়েব সাইট এ ভিসিটর অনেক বেশি।
সেই সকল ওয়েব সাইট এ লেখা লেখি করতে হবে এবং শেষে আপনার ওয়েব সাইট এর লিংক দিয়ে দিবেন। এতে ঐ ওয়েব সাইট এ যারাই আপনার আর্টিকেল টি পরবে , যদি ভালো লাগে পুনরায় আপনার আরও আর্টিকেল পড়ার জন্য আপনার দেওয়া লিংক টি ভিসিট করবে।
এতে করে আপনার ওয়েব সাইট এর ভিসিটর অনেক বেড়ে যাবে। এভাবেই অসংখ্য Backlink তৈরি করবেন।
# নিয়মিত আর্টিকেল প্রকাশ না করাঃ-
ওয়েব সাইট এ নিয়মিত আর্টিকেল প্রকাশ না করা নিজের পায়ে নিজে কুঠার মারার মত সমান। কারন ভিসিটর যদি ভিসিট করে দেখে আপনার ওয়েব সাইট এ নিত্য নতুন বা নির্দিষ্ট সময় পড় পড় নতুন কিছু আর্টিকেল আস্তেছে না।
তখন ঐ ইউজার আর আপনার ওয়েব সাইট ভিসিট করবে না। তাই নিয়মিত আর্টিকেল প্রকাশ করা অত্যন্ত জরুরী। তাই আপনাদের উচিৎ নিয়মিত আর্টিকেল প্রকাশ করে ইউজার বা ভিসিটর ধরে রাখা।
# Simple Blogger Template ব্যবহার না করাঃ-
আমরা অনেকেই এখনও আছি যারা যে কোন একটি থিম বা ব্লগার টেম্পলেট আমাদের ওয়েব সাইট এ ব্যবহার করে থাকি। আপনি কোন বিষয়ে আর্টিকেল প্রকাশ করবেন সে রকমেরই একটি থিম বা টেম্পলেট আপনার ওয়েব সাইট এ ব্যবহার করা অত্যন্ত প্রয়োজন।
তাছারা আপনার ওয়েব সাইট টি সুন্দর অ হওয়া প্রয়োজন যেন ইউজার রা আকৃষ্ট হয়। তাছারাও ওয়েব সাইট এর লোডিং টাইম যেন অনেক কম হয় এমন থিম বা টেম্পলেট নির্ধারণ করতে হবে।
কেননা অধিক সময় ধরে ওয়েব সাইট লোডিং নিলে ইউজার রা বিরক্ত হয়ে চলে যায় , ফলে আপনার ভিসিটর হারাতেই থাকবেন। তাই সব সময় Simple Blogger Template ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন।
# Html , Css & Customization সম্পর্কে ধারনা না থাকাঃ-
আর যেটি না বললেই নয় আর সেটি হল - Html , Css & Customization সম্পর্কে ধারনা না থাকা। ফলে আপনার ওয়েব সাইট এর ডিজাইন আপনি পরিবর্তন করতে চাচ্ছেন কিন্তু আপনার মনের মত করে সাজাতে পারবেন না।
তাই একটি ওয়েব সাইট চালানোর আগেই Html , Css & Customization সম্পর্কে ধারনা লাভ করে নিবেন। যদি আপনার মোটামুটি Html , Css & Customization সম্পর্কে ধারনা হয়ে যায় তবে আপনি প্রফেশনাল ভাবে কাজের জন্য পা বারাবেন।
Html , Css & Customization সম্পর্কে ধারনা না থাকলে আপনাকে অনেক বাধার সম্মুখীন হতে হবে। তাই Html , Css & Customization সম্পর্কে ধারনা থাকা বা জানা অত্যন্ত প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।
পরিশেষে বলতে চাই আজকের টিউন আপনাদের যদি সামান্য তম উপকারে আসে আমার এই কষ্ট করে লেখার সার্থকতা খুজে পাব। আর যদি এই আর্টিকেল লেখার মাঝে টাইপিং মিস্টেক থেকে যায় তবে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
সকলের সু - সাস্থ কামনা করে আজকের টিউন এখানেই শেষ করতেছি। দেখা হবে আবারও কোন নতুন টিউটোরিয়ালে। ধন্যবাদ সবাই কে এত ক্ষন ধরে আমাকে সঙ্গ দেওয়ার জন্য।
টাটা।
ক্রেডিট বাই SMsudipBD.Com
Tags:- যে ভূল গুলো ব্লগারে কখনই করবেন না। যে ভূল গুলো ব্লগারে ব্যর্থতার কারন হয়ে উঠেছে।,বাংলাদেশের জনপ্রিয় ব্লগ সাইট,ব্লগ লেখার নিয়ম,শিক্ষামূলক ব্লগ,ব্লগ এর প্রকারভেদ,ব্লগার সাইট,ব্লগ কি ও কেন,আমার ব্লগ ডট কম,Blogger,,ব্লগিং থেকে কীভাবে টাকা উপার্জন করবেন,আপনার Blogger ব্লগে অটোমেটিক বিজ্ঞাপন দেখানো,আপনার ব্লগে বিজ্ঞাপন দিন - Google AdSense
পোস্ট রেটিং করুন
টিউটোরিয়ালটি কেমন লেগেছে মন্তব্য করুন!